কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা
কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা
যোগাযোগ মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি মানুষ, দেশ, এবং
সমাজকে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন
উপায়ে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে আসছে।.
এখন আমরা রেডিও, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট, টেলিফোন, মোবাইল বা সেল ফোন, ইন্টারনেট ও
ইমেইল ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
যোগাযোগ করতে পারি। যোগাযোগ মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিয়েছে এবং তাকে
উন্নতির শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। সমাজ, দেশ, এবং বিশ্বে অর্থপূর্ণ ও উন্নত জীবন যাপন
করতে হলে আমাদের বিভিন্ন মানুষ, দেশ ও সমাজের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র: কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে উন্নয়ন করছে-বিভিন্ন প্রযুক্তির বর্ণনা বর্ণনা
- ভূমিকা
- যোগাযোগের মৌলিক নীতিমালা
- যোগাযোগের প্রক্রিয়া ও এর ধাপসমূহ
- যোগাযোগের উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা এবং ব্যবহার
- রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন এর তৈরি সমস্যা
- ইন্টারনেট ও ইমেইল ব্যবহারের সুবিধা প্রয়োজনীয়তা
- উপসংহার
ভূমিকা
প্রযুক্তি আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে উন্নয়ন করে এসেছে। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে আমরা আমাদের জীবনকে সচ্ছল ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত করতে পারছি। যোগাযোগ শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। প্রতিদিন আমরা হাজারো ধরনের যোগাযোগ করছি। যেমন সড়কপথে, নৌপথে কিংবা আকাশপথে যোগাযোগ।
এসবের মধ্যে বোঝায় গাড়ি, রেল, নৌকা, স্টিমার ও বিমানকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া বা কোন মালপত্র পাঠানো। একটু ভিন্ন ধরনের যোগাযোগের কথা বলতে গেলে বলতে হবে তথ্য ও যোগাযোগের কথা। টেলিভিশন বা রেডিওতে খবর শোনা, কোন অনুষ্ঠান দেখা বা শোনা এক ধরনের যোগাযোগ। সুতরাং, যোগাযোগ বলতে বোঝায় একই স্থান হতে অন্য স্থানে এবং এক ব্যক্তি হতে অন্য ব্যক্তির কাছে বা এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে কথাবার্তা, চিন্তাভাবনা ও তথ্যের আদান-প্রদান বা বিনিময় করা।
যোগাযোগের মৌলিক নীতিমালা
যোগাযোগের জন্য অবশ্যই প্রেরক এবং গ্রাহক থাকতে হবে। প্রেরক ও গ্রাহক
ছাড়া যোগাযোগ সম্ভব নয়। যোগাযোগের জন্য প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে
পারস্পরিক আস্থা, আগ্রহ এবং গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।
যোগাযোগের ভাষা হতে হবে সহজ, সরল, সুস্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ। যোগাযোগ একটি
শিল্প বা কলা। এর তথ্য, সংকেত বা ভাষা প্রেরক ও গ্রাহকের নিকট বোধগম্য
এবং সুস্পষ্ট হতে হবে। সঠিক তথ্য সঠিক ব্যক্তির কাছে পাঠানো জরুরি।
যোগাযোগের ভাষা ও বার্তায় অবশ্যই সৌজন্যবোধ থাকতে হবে।
যোগাযোগের প্রক্রিয়া ও এর ধাপসমূহ
যোগাযোগের জন্য প্রেরক বার্তাকে কোনো এক ধরনের সংকেতে রূপ দিয়ে সেটি একটি মাধ্যমের মাধ্যমে প্রেরণ করে। গ্রাহক সংকেত রূপি বার্তাটি গ্রহণ করে এর অর্থ উদ্ধার করে এবং প্রয়োজন হলে সাড়া প্রদান করে বা উত্তর দেয়। এই সাড়া বা উত্তর প্রেরকের কাছে পাঠানো হয়, যাকে বলা হয় ফিডব্যাক।
এভাবে যোগাযোগ প্রক্রিয়া চলতে থাকে যে কোনো ইলেকট্রনিক যোগাযোগ
ব্যবস্থার একটি প্রেরক যন্ত্র, একটি যোগাযোগ মাধ্যম এবং একটি গ্রাহক
যন্ত্র থাকে। অধিকাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থায় মেসেজ বা বার্তাটি একজন
ব্যক্তি তৈরি করেন। এটি যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে প্রেরণ করা হয় এবং
গ্রাহক যন্ত্র বার্তাটি গ্রহণ করে অপর ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়।
যোগাযোগের উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব
যোগাযোগ হল তথ্য আদান-প্রদানের মূল প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তা, ধারণা এবং অনুভূতি অন্যের কাছে প্রকাশ করে বা পৌঁছে দেয়। সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ নানা ভাবে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে আসছে। এখন আমরা মুহূর্তের মধ্যে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং ইমেইলের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারি। কোন সমস্যার সমাধান এবং সম্পর্কের উন্নতি নির্ভর করে সফল এবং কার্যকর যোগাযোগের উপর।
পড়ালেখা, গবেষণা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, রাজনীতি,
অর্থনীতি, কূটনীতি, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, অপরাধী ধরা ও অপরাধ
দমনসহ সব কাজ সাফল্যের সাথে ও দ্রুত সম্পন্ন করা হয় উন্নত
যোগাযোগের মাধ্যমে। তথ্য বিনিময়, পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন,
যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, পণ্যের
বিজ্ঞাপন প্রদান ইত্যাদি সব কাজ যোগাযোগের মাধ্যমে সম্ভব।
ইলেকট্রনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের প্রতিদিন উন্নতির শিখরে
নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। তাই এই যুগকে
বলা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা এবং ব্যবহার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এখন খুবই পরিচিত একটি বিষয়। আমাদের
দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ কাজ থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনের অনেক
গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই
করতে পারি। উনিশ শতকে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের বিকাশের মাধ্যমে মানুষের
যোগাযোগের ক্ষমতা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। বিশ শতকে রেডিও,
টেলিভিশন, সেলফোন ও ফ্যাক্সের আবির্ভাব যোগাযোগে বিপ্লব এনেছে।
কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটও এই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রেখেছে।
**রেডিও:** রেডিও বিনোদন ও যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
রেডিওতে আমরা খবরের পাশাপাশি বিনোদনের জন্য গান-বাজনা এবং পণ্যের
বিজ্ঞাপনও শুনতে পারি। সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী তথ্য আদান-প্রদানের
জন্য নিজস্ব রেডিও ব্যবহার করে। মোবাইল বা সেলুলার টেলিফোন যোগাযোগে
রেডিও প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। কোনো রেডিও সম্প্রচার স্টেশনের
স্টুডিওতে যখন কেউ মাইক্রোফোনে কথা বলে, তখন সেই শব্দ বিদ্যুৎ তরঙ্গে
রূপান্তরিত হয়। তা পাঠানোর জন্য উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গের সাথে যুক্ত
করা হয়। এই উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গকে বাহক তরঙ্গ বলে।
**টেলিভিশন:** আমরা সবাই টেলিভিশন দেখেছি এবং জানি যে টেলিভিশন এমন
একটি যন্ত্র, যেখানে দূরবর্তী কোনো টেলিভিশন সম্প্রচার স্টেশন থেকে
শব্দের সাথে সাথে ভিডিও বা চলমান ছবি দেখতে পাই। ১৯২৬ সালে জন লজি
বেয়ার্ড প্রথম টেলিভিশনের মাধ্যমে ভিডিও বা চলমান ছবি পাঠিয়েছিলেন।
তার পদ্ধতিটি ছিল একটি যান্ত্রিক পদ্ধতি। পরে ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার
করে ছবি পাঠানোর পদ্ধতিটি আরও আধুনিক হয়ে ওঠে। রিসিভার কিভাবে কাজ
করে সেটি যদি আমরা জানতে পারি, তাহলে টেলিভিশন কিভাবে কাজ করে সেটিও
সহজেই বুঝতে পারব।
**মোবাইল ফোন:** ল্যান্ডফোনে তামার তার দিয়ে সংযুক্ত থাকায় এটি
একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হয় এবং টেলিফোন করার জন্য বা ধরার
জন্য সেই জায়গায় যেতে হয়। মোবাইল টেলিফোন আমাদের সেই
বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি দিয়েছে, কারণ এই ফোনটি আমরা আমাদের সাথে
যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারি এবং যতক্ষণ নেটওয়ার্কের মধ্যে
থাকি, যে কোনো নম্বরে ফোন করতে, কথা বলতে বা এসএমএস বিনিময় করতে
পারি। এ কারণেই মোবাইল ফোন এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয়
যোগাযোগ মাধ্যম।
শুরুতে টেলিফোন উদ্ভাবন করা হয়েছিল কথা বলার জন্য। মোবাইল
টেলিফোনে কথা বলার পাশাপাশি এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এখন স্মার্টফোন নামের নতুন যে ফোনগুলো এসেছে, সেগুলো কণ্ঠস্বরের
পাশাপাশি সব ধরনের তথ্য পাঠাতে পারে। এগুলো সরাসরি ইন্টারনেটের
সাথে যুক্ত হতে পারে এবং আগে যে কাজগুলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
ছাড়া করা সম্ভব ছিল না, সেগুলো এখন স্মার্টফোন দিয়ে করা সম্ভব।
শুধু তাই নয়, স্মার্টফোনের জন্য নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি
হয়েছে, যা আমাদের আরও বিভিন্ন কাজ করতে সাহায্য করে।
**ফ্যাক্স:** ফ্যাক্স শব্দটি হচ্ছে ফ্যাক্সিমিলির সংক্ষিপ্ত রূপ।
ফ্যাক্স করা বলতে আমরা বুঝি কোনো ডকুমেন্ট কপি করে টেলিফোন লাইন
ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া। বর্তমান যুগে
কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট ফ্যাক্স প্রযুক্তিকে অনেক
পিছনে ফেলে এসেছে। তবুও প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই এই প্রাচীন কিন্তু
নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফ্যাক্স পাঠানো হয় টেলিফোন
লাইন দিয়ে, কিন্তু প্রথম ফ্যাক্সের ধারণাটি প্যাটেন্ট করা হয়
টেলিফোন আবিষ্কারের ৩০ বছর আগে।
রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন এর তৈরি সমস্যা
ভিডিও এবং টেলিভিশন ব্যবহারের কারণে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে,
সেগুলো প্রধানত শব্দ দূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেই খুব উচ্চ
ভলিউমে রেডিও বা টেলিভিশন ব্যবহার করেন। এতে নিজের কানের যেমন
সমস্যা হতে পারে, তেমনি আশেপাশে যারা থাকে তাদেরও সমস্যা হতে পারে।
যারা কানে হেডফোন লাগিয়ে সারাক্ষণ খুব বেশি শব্দে রেডিও বা মিউজিক
শোনেন, তারা মাথাব্যথা, কানে কম শোনা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য
সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়া যারা দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি
টিভি দেখেন, তাদের মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা, চোখে ব্যথা বা
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে পারেন। এই সমস্যা
শিশুদের জন্য আরও বেশি হয়ে থাকে।
তাদের বিকাশ মান কোষের যত উপযুক্ত বিকাশে টেলিভিশন থেকে নিশ্চিত
বিকিরণ যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে। যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা সহজ। তাই শব্দ দূষণ বা অন্যান্য
সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে উচ্চ শব্দের রেডিও বা টিভি না চালানো
একনাগারে অধিক সময় রেডিও এবং টিভি না সোনা বা না দেখা ভালো।
পৃথিবীতে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে এবং
এর পিছনে শিশুদের অল্প বয়সে টেলিভিশন দেখার একটি জোকসূত্র থাকতে
পারে। সে জন্য অটেস্টিক শিশুদের পরিবারে ডাক্তারেরা টেলিভিশন না
দেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে মোবাইল ফোন থেকে
সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে।
মোবাইল ফোন হল একটি নিম্ন ক্ষমতার রেডিও ডিভাইস, যা একটি ছোট
এন্টেনা সাহায্যে একই সাথে রেডিও কম্পাঙ্ক এ বিকিরণ প্রেরণ এবং
গ্রহণ করে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় এই এন্টেনাটি ব্যবহারকারীর
মাথার খুব কাছের থাকে। এই নিয়ে পৃথিবীর মানুষ এখন উদ্বিগ্ন যে এই
মাইক্রোতরঙ্গের ক্রমাগত ব্যবহার হয়তো মাথার ক্যান্সার রোগের
সৃষ্টি করতে পারে। এসব সমস্যার সৃষ্টি সম্পর্কে খুব বেশি প্রমাণ
নেই। তবে অত্যাধিক বিকিরণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা
হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিকিরণের প্রভাব খুব বেশি না
পড়লেও শিশুদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার করা নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
ইন্টারনেট ও ইমেইল ব্যবহারের সুবিধা- প্রয়োজনীয়তা
ইন্টারনেট: হল একটি নেটওয়ার্ক, যা সাধারণত
কম্পিউটারগুলি একে অপরের সাথে যুক্ত করে সংযোগ করে। এর মাধ্যমে
কোনো কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে তথ্য পাঠাতে পারে এবং
প্রয়োজন হলে একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের রিসোর্স ব্যবহার
করতে পারে। এই ধরনের নেটওয়ার্ককে (LAN) বলা হয়। আজকাল একটি LAN
তৈরি করতে হলে একটি সুইচ ব্যবহার করে এবং এর সাথে অনেকগুলো
কম্পিউটার যুক্ত করে সুইচগুলি পরস্পরের সাথে সংযোগ করে দিতে হয়।
যখন একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে চায় এবং
সে কম্পিউটার তার নিজের সুইচের সাথে যুক্ত কম্পিউটারের মধ্যে
থাকে, তাহলে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
ই-মেইল: হল ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ এবং এ মেইল বলতে
বোঝানো হয় যে কম্পিউটার, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি ডিভাইস দিয়ে
নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী অন্য ব্যবহারকারীর সাথে
ডিজিটাল তথ্য বিনিময় করে। ১৯৭১ সালে প্রথম ইমেইল পাঠানো হয় এবং মাত্র
২৫ বছরের মধ্যেই পোস্ট অফিস ব্যবহার করে পাঠানো চিঠি থেকে ইমেইলের
সংখ্যা বেশি হয়ে গেছিল। বর্তমানে ইমেইল ছাড়া একটি দিনও আমরা কল্পনা
করতে পারি না। ইমেইল পাঠানোর জন্য প্রথমে যিনি পাঠাবেন এবং যিনি পাবেন
তাদের দুজনেরই ইমেইল ঠিকানা দরকার হয়। আমরা সকলেই ইমেইলের ঠিকানার
সাথে পরিচিত এবং সবাই লক্ষ্য করেছি যে ইমেইল ঠিকানাটি @ চিহ্ন দিয়ে
ভাগ করা হয়েছে।
উপসংহার
উপরোক্ত বিষয়টি থেকে আমরা জানতে পেরেছি কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি
আমাদের জীবনে উন্নয়ন করে আসছে এবং বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির
বর্ণনা। আমরা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি এবং সেই ইন্টারনেট
দিয়ে কি কি কাজ করা যায় এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা
ও গুরুত্ব সম্পর্কেও আমরা জানতে পেরেছি। এছাড়াও, রেডিও
ট্রান্সমিশন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয় এবং সেই সমস্যাগুলির সমাধানের মাধ্যম ও তার প্রভাব সম্পর্কেও
আমরা জানতে পেরেছি।
Comments
Post a Comment